এক আজব চরিত্রের নাম ওবায়দুল কাদের। ২৪ এর গণঅভুত্থানের সময় পালানো এই ব্যক্তি এক সময় বলেছিলেন, পালাবো না পালাবো কোথায়। পালাবো না পালাবো না করতে করতেও ঠিকই তিনি পালিয়েছেন। নিজে পালালেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার দলের এই সাধারণ সম্পাদক অহংকারী কউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদের বিপদে ফেলে গেছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। অপরদিকে বর্তমানে বেশ আরাম আয়েশেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের পালানোর ঘটনা নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। কেউ বলেছেন হাসিনা পালানোর পরই যশোর সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন তিনি। আবার সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছিলেন কাউয়া কাদেরখ্যত ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন। এদিকে সম্প্রতি আবার তার নামে রেজিস্টার করা সিমের লোকেশনে লালমনিহাটের অবস্থানও দেখা গিয়েছিলো।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, ওবায়দুল কাদের কলকাতার অভিজাত এলাকা রাজারহাট নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজায় আছেন। এটি মূলত হাইরাইজ কমপ্লেক্স, যেখানে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। সম্প্রতি ডিজিটাল গণমাধ্যমের সম্পাদক গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ এর একটি ফেসবুকে পোষ্টে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে ওবায়দুল কাদের ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগসহ তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে, ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাতে। আজ ওবায়দুল কাদের কলকাতায় ঠিকই অভিজাত এলাকার অভিজাত ফ্ল্যাটে পরিবারসহ থাকছেন। অপরদিকে তার দলীয় নেতা-কর্মীরা ফেঁসে গেছেন ২৪ এর নির্মম সেই গণহত্যায়। বর্তমানে জেলেই দিন কাটছে কাউয়া কাদেরের সবচেয়ে কাছের সেই সব নেতাদের। এদের মধ্যে অন্যতম সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক , ব্যারিস্টার সুমনসহ আরো অনেকেই।
ভারতে বসে তাদের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী নেত্রী গলা ফাটালেও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগের হয়ে গলা ফাটানো ফাটাকেষ্ট ওবায়দুল কাদেরের যেনো দেখা নেই। কখনো গণমাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। এ যেনো ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’ বাংলার সেই বিখ্যাত প্রবাদের মতই।