Monday, June 16, 2025

তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন করায় সোহেল তাজের প্রতিবাদ

আরও পড়ুন

দেশের ৩৭ জেলার ৬৮টি সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। নাম বদলের প্রতিবাদ করেছেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে কলেজটির নাম পরিবর্তন করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

DMN express পাঠকদের জন্য সোহেল তাজের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘মুছে যাক আমার নাম, তবু বেঁচে থাকুক বাংলাদেশ’— তাজউদ্দীন আহমদ

শহিদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ আমাদের কাপাসিয়ার গর্ব ও অহংকার এর নাম!

বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ সাহেবের পরিবার এবং বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ্ সাহেবের পরিবার এটা আমাদের কাপাসিয়ার ঐতিহ্য।

আরও পড়ুনঃ  তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

আজ ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে তালিকার ৩৬ নম্বর কলেজের নামটি ‘সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’ এই নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম ঠিক করা হয়েছে, ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ।’

বোঝার সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি কলেজটি অবস্থিত গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহিদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের গ্রামে বাড়ি দরদরিয়া থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে হাইলজোর গ্রামে!

কলেজটি যখন সরকারীকরণ করা হয় তারও আরও অনেক আগে থেকেই এই কলেজের নামকরণ করা হয় ‘শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’ এবং এই নামেই কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়, যার আগে নাম ছিল ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ হাইলজোর।

আরও পড়ুনঃ  জিএম কাদের এখনো বাইরে কিভাবে, প্রশ্ন সারজিসের

রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী’র নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে বর্তমান সরকার। যার ফলে আমরা এখন নতুন নাম পেয়েছি ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’।

আপনাদের সুবিধার্থে আরও একটি তথ্য জানিয়ে রাখি, কাপাসিয়া সদরে কিন্তু আরো একটি ডিগ্রি কলেজ আছে। তার নামও ‘কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ’ (সরকারি হয় নাই এখনো)।

কথা হচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহিদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এর নাম বাদ দিয়ে নতুন নামের কারণে কি কি সুবিধা আমরা পাবো! স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহানায়কের নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বা কি? কর্তৃপক্ষ কি এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারবে?

আসলে নাম পরিবর্তনেই বা কি আসে যায়,

যেখানে আমাদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদ বলে গিয়েছেন,

আরও পড়ুনঃ  ১২শ বস্তা চাল উদ্ধার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফের বক্তব্য

“মুছে যাক আমার নাম, তবু বেঁচে থাকুক বাংলাদেশ”।

আর এইটা তো একটা কলেজ মাত্র। তবে দুঃখ লাগে! তাও লাগতো না, যদি না কলেজটি অন্য কোনো জায়গায় হতো। কলেজটি যে তাজউদ্দীন আহমদ এর নিজ ইউনিয়নে।

সারাদেশে যখন শেখ মুজিবুর রহমানের মোড়াল ভাঙ্গা হচ্ছিল তখন তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরে উনার মোড়ালে মালা পড়িয়েছিল ছাত্র-জনতা!

বিগত ৫৪ বছরের নাম নিয়ে কোনো অপরাজনীতির ইতিহাস নেই কাপাসিয়ায়। কেবল চোখে পড়ছে! এরা কারা, কি স্বার্থ তাদের?

আমি এতো কিছু জানি না এতো কিছু বুঝি না তবে আমি এই কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ