Monday, June 16, 2025

ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ইয়াসিনের মৃত্যু

আরও পড়ুন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইয়াসিন মৃধা (১৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা রাজধানীর মগবাজারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম।

নিহত ইয়াসিন মৃধা ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না বিষয়টি এখনো জানা যায় নি।

আরও পড়ুনঃ  ‘১৫ দিনের মধ্যে ড. ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) রাত ৮টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে ইয়াসিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আরও পড়ুনঃ  স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

নিহত ইয়াসিন মা ফরিদা ইয়াসমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বার্তা বাজারকে বলেন,”আমার ছেলে তো রাজনীতি করে না মাদরাসায় পড়ে। ওরে কেন মারলো? ওর কোনো শত্রু ছিল না। যারা আমার ছেলেকে যাঁরা মেরেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।”

ইয়াসিনের চাচি শামসুন্নাহার বার্তা বাজারকে বলেন, ইয়াসিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। ও রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। যারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”

আরও পড়ুনঃ  খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে প্রধান উপদেষ্টার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান বদল

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বার্তা বাজারকে জানান,” গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। শুনেছি ঢাকায় চিকিৎসা ধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত ইয়াছিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পায় নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ