একটি গ্রামে ঘটেছে নজিরবিহীন এক পারিবারিক ঘটনা। নিজের মেয়ের শ্বশুরকে বিয়ে করেছেন এক নারী। এখন একই বাড়িতে মা ও মেয়ে—দুজনেই বউ হিসেবে বসবাস করছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন ঘটনাস্থলে।
জানা যায়, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই নারী। একপর্যায়ে নিজের স্বামীকে তালাক দিয়ে বেয়াইকে (মেয়ের শ্বশুর) বিয়ে করেন তিনি। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, বিষয়টি শুরু হয় ফোনালাপের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং শেষমেশ গোপনে বিয়ে।
একই দিনে তালাক ও বিয়ে? আমি আগেই তালাক দিয়েছি। আইনের কথা সবসময় মানা যায় না, জীবনের বাস্তবতা অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।”
অবিশ্বাস্য হলেও মেয়েটি তার মায়ের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। সে জানায়, “আমার মা এখন ভালো আছেন। আমি চাই না তিনি পুরনো সংসারে ফিরে যাক। তিনি যদি এখান থেকে চলে যান, তিনি নিজেই কষ্ট পাবেন, হয়তো আত্মঘাতীও হয়ে উঠতে পারেন।”
এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশি বৈঠক হলেও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, সালিশে অর্থ লেনদেনের ঘটনাও ঘটেছে। যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মেয়ের বাবা অভিযোগ করেছেন, “আমার স্ত্রী আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বেড়ানোর কথা বলে। পরে জানতে পারি সে মেয়ের শ্বশুরকে বিয়ে করেছে। আমি এর বিচার চাই।”
এ ধরনের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে এটি পারিবারিক মূল্যবোধকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে, অন্যদিকে এর প্রভাব পড়ছে সন্তানদের মনোজগতে।
সামাজিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সম্পর্ক সমাজে বিভ্রান্তি ও মূল্যবোধের অবক্ষয় ডেকে আনতে পারে। এটি শুধু ব্যক্তি জীবন নয়, একটি প্রজন্মের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি দ্রুত বিচার ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে।