Sunday, June 15, 2025

ভয়ংকর রূপে ফিরেছে করোনা,

আরও পড়ুন

ভারতে আবারও ভয়ংকর রূপে ফিরে এসেছে করোনা। ২০২০ সালে মহামারি হিসেবে আবির্ভূত ভাইরাসটির হাফ ডজন নতুন ভেরিয়েন্টের দেখা মিলেছে ইতোমধ্যে। একদিকে যেমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ, তেমনি অন্যদিকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে।  

এ অবস্থায় ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ সতর্কবার্তা জারি করে।

এতে বলা হয়, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে, যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ২৪২ যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রবেশের পথে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রচার করতে হবে এবং জনগণকে ভারতসহ সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নিথর দেহে সক্রিয় চেতনা’, আট মিনিটের মৃত্যু, আত্মার জীবন্ত অভিজ্ঞতা!

এদিকে, আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা বলছেন, করোনার আরও দুটি নতুন ধরন—এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো অমিক্রন জেএন-১ এর উপধরন এবং এদের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। এ পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দিনে সাতবার বা প্রয়োজন মতো অন্তত ২৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  যমুনা নদীতে রিলস বানাতে গিয়ে নদীতে ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

সন্দেহজনক রোগীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, কেউ অসুস্থ হলে তিনি যেন ঘরে থাকেন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। রোগীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে এবং জটিল পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ ও সর্বসাধারণের সতর্কতা বজায় রাখার মাধ্যমেই এই নতুন সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলেও উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ