ইরানের রাতভর মিসাইল বন্যায় ইসরাইলে সর্বশেষ ৮ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো ২০০ জন। শনিবার রাতের এই হামলায় এখনো নিখোঁজ প্রায় ৩৫ জন। নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। হামলার ফলে বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখা গেছে।
ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা, ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরান থেকে শনিবার দিবাগত রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহতের সংখ্যা প্রায় ২০০ জন।
ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বাত ইয়ামের একটি ভবনে আঘাত হানার পর ৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী একজন মহিলা, ৬৯ বছর বয়সী আরেকজন মহিলা, আট বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
হিব্রু মিডিয়ার তথ্য মতে, বাত ইয়ামের আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনও প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিব্রু মিডিয়ার প্রতিবেদন মতে, আজ রাতের দিকে ইসরাইলের উত্তরের তামরা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত চারজন একই পরিবারের মহিলা। মানার খাতিব এবং তার দুই মেয়ে ২০ বছর বয়সী হালা এবং ১৩ বছর বয়সী শাদা নিহত হয়েছেন। পরিবারের অপর নিহত ব্যক্তির নাম মানার।
ইরান থেকে সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রেহোভোটের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্সের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, ক্ষয়ক্ষতির কিছু ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “কমপক্ষে একটি ল্যাবরেটরি সম্বলিত ভবনে” আগুন লেগেছে।
হিব্রু মিডিয়ার প্রতিবেদন মতে, ভেতরে লোকজন আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে, বাত ইয়াম এবং রেহোভোটের দুটি স্থানে মোট ১৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।