Thursday, June 19, 2025

ইরান একা নয় : কিম জং উন

আরও পড়ুন

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি ইরানের পক্ষে এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সরকারি ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক পদক্ষেপের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উন জোর দিয়ে বলেছেন, এই সংঘাতে তেহরান ‘একা নয়’।

কিম জং-উন বলেন, ‘এই যুদ্ধে ইরান একা নয়। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতির সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা কঠিন সময়ে আমাদের মিত্রদের ত্যাগ করি না। আমরা ইরানকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন এবং চাপ নীতি আমাদের জানা। আমরা আমাদের বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি।’

আরও পড়ুনঃ  রাতের হামলায় তছনছ ইসরায়েল, একের পর এক মরদেহ উদ্ধার

তিনি ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলের বিমান হামলাকে বিশেষভাবে নিন্দা করেন। তার মতে, এই আগ্রাসন কেবল ইরান নয় বরং সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তোলে।

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার মতে, ওয়াশিংটন কর্তৃক বাস্তবায়িত নীতিগুলো কেবল সহিংসতা বৃদ্ধি করে এবং কূটনীতির দরজা বন্ধ করে দেয়।

এএফপির খবরে বলা হয়, ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া এবং যুদ্ধের আগুন উসকে দেওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে সতর্ক করেছে দেশটি।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলি বিমান হামলায় আজারবাইজানে ৩০ সামরিক কর্মী নিহত

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র বলেন, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এর তীব্র নিন্দা জানায়।

এদিকে ইরানে হস্তক্ষেপ সহজভাবে নিচ্ছে না চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং যুক্তরাষ্ট্রের হম্বিতম্বির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। সম্মান হারানোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার এক এক্স-বার্তায় শি অতীতের পরাক্রমশালী সাম্রাজ্যের ধ্বংস স্মরণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তিনি লেখেন, ‘বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই এগিয়ে যেতে পারে।’

আরও পড়ুনঃ  ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ!

শি আরও লেখেন, ‘ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রভাব স্থানান্তরিত হয়। বৈধতা মুহূর্তেই মরে যায়, যখন এটি অর্জনের পরিবর্তে ধারণা করে নেওয়া হয়। প্রতিটি পতনশীল সাম্রাজ্য অতীত থেকে শিখতে দেরি করেছে। আমেরিকা যদি বিশ্বে সম্মান হারায় তবে তারাও সেই দেরিতেই শিখবে। বিশ্ব এগিয়ে যায়; সব সময়।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ