সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ এক আলোচনায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে।
তিনি মনে করেন, সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। বিচার হলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে।”
এ সময় তিনি ছাত্র আন্দোলনের উত্থান এবং তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ছাত্রদের দাবি মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিকতা। তারা ফ্যাসিবাদের বিলোপ চায়, যা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উভয়ের বিরুদ্ধেই হুংকার হিসেবে দেখা যাচ্ছে।”
এম এ আজিজ আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বিভিন্ন উপায়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতাতেই এসব ঘটনা ঘটছে।
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিএনপি অতীতে যে ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছে, তা ছাত্ররা মনে রাখছে। তাদের দাবি এক স্বৈরাচার বিদায় করে আরেক স্বৈরাচার আনার পক্ষে নয়।”
তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো মনে করতে পারে যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা যাবে না, জামায়াতকে ভোট দেবো।
জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াতের ভোট ব্যাংক স্থির থাকলেও তারা পার্লামেন্টে ক্ষমতায় আসার মতো পর্যাপ্ত আসন পাবে না। তবে বিএনপি সরকার গঠন করবে।”
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “নির্বাচনে যেই জিতুক, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এটি গভীর আলোচনা ও সমাধানের প্রয়োজন।”