লক্ষ্মীপুরে বিবাদমান দুটি গ্রুপের কথা কাটাকাটির পর গোলাগুলি হয়। এতে একটি গুলি এসে ছয় বছরের শিশু আদিবা সুলতানার পেট ছেদ করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিছানায় কাতরালেও ৭২ ঘণ্টা পর চোখে মেলেছে সে। এরপর একবার শুধু বলেছে, ‘মা আমি কিছু খাবো’।
এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ ফাতেমা বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত অহিদ ও তার ছেলে ফাহিম এখনও পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: ফকির আমিরুল ইসলাম সোহেল জানান, আবিদার ফুসফুস, কিডনি ও কলিজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবে সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
তিনি জানান, গুলিটি শিশুটির পেটের ডান পাশে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়েছে। এতে তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসা চলছে, তবে তাকে বাঁচাতে আরও সময় ও দোয়া প্রয়োজন।
শিশুটির মা আমেনা বেগম জানান, ঘটনার দিন বিকেলে কয়েকজন লোক মোটরসাইকেলে এসে অহিদের বাড়িতে ঢোকে। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটে ভয়াবহ সেই মুহূর্ত। অহিদ পেছনের ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমগাছের নিচে খেলা করা আবিদাকে গুলি করে। পরে সে নিজের মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে চিকিৎসার জন্য দিতে চায়। কিন্তু তখন মেয়েকে বাঁচাতে হাসপাতালে ছুটে যাই।
গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পূর্ব বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এই ঘটনা ঘটে।
আহত শিশুটি একই উপজেলার পূর্ব বশিকপুর এলাকার ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে এবং বশিকপুর নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খোলা মাঠে হেলমেট পড়ে বালতিতে বোমা নিয়ে দুই পক্ষের হামলাখোলা মাঠে হেলমেট পড়ে বালতিতে বোমা নিয়ে দুই পক্ষের হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাচারীবাড়ির অহিদ উদ্দিন এবং ছোট ইউসুফের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। সন্ধ্যায় এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় শিশু আদিবা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।