Thursday, April 17, 2025

ইহুদি ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ইসরায়েলের আয়ু আর দুবছর

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন তারা। এমনকি এসব বিক্ষোভ থেকে অনেকে ইসরায়েলের ধ্বংস চাইছেন। এরই মাঝে ইহুদিদের ধর্মীয় ন্যায়শাস্ত্রের একটি ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে ইসরায়েলিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।

ইহুদিদের ধর্মীয় ন্যায়শাস্ত্র তালমুদ-এ এই ভবিষ্যদ্বাণীটি ‘লা’নাতুল আকদিস সামিন’ বা ‘অষ্টম দশকের অভিশাপ’ হিসেবে পরিচিত। ওই ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, কোনো ইহুদি রাষ্ট্র আট দশকের বেশি টিকবে না। ভেঙে যাবে। আর সে ভাঙন হবে নিজেদের মধ্যকার জাতি-উপজাতির কোন্দলে। ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ইসরায়েলের আয়ু আর দুবছর অবশিষ্ট আছে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার মধ্যে সম্প্রতি ইহুদিদের ধর্মীয় ন্যায়শাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণীটি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভবিষ্যদ্বাণীটি নিয়ে ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। অনেকে বলছেন, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে এই আতঙ্ক ভর করেছে নেতানিয়াহুকেও। এজন্য তিনি ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে পারে এমন সব কিছু ধ্বংস করে টিকে থাকতে মরিয়া।

আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিনকে আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েলের ক্ষোভ

গেল দুই হাজার বছরে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় সার্বভৌম অনেক ইহুদি রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে কিং ডেভিডের অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের দাউদ নবীর রাজত্ব এবং হাসমোনিয়ান রাজত্ব ছাড়া আজ পর্যন্ত কোনো ‘ইহুদি রাজ্য’ ৮০ বছরের বেশি টেকেনি। তবে কিং ডেভিডের রাজত্ব ও হাসমোনিয়ান রাজত্ব ৮০ বছরের বেশি টিকে থাকলেও এই দুই রাজত্বের ভাঙন ধরেছিল ৮০ বছরের মাথায়। এরপর দুটো রাজত্বই টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল।

আজকের আধুনিক ইসরায়েলের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। ২০২৮ সালে ৮০ বছর পূরণ হবে তাদের। অর্থাৎ হাতে সময় আছে মাত্র ২ বছর। তালমুদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হলে আর দুই-তিন বছরের মধ্যেই ইসরায়েল রাষ্ট্রটি ভেঙে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ  নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ প্রজাতন্ত্রের কর্মে যুক্ত হতে পারবে না: আসিফ মাহমুদ

যেহেতু ইসরায়েলের ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে বিশ্বাসী ও তালমুদের আদেশ-নিষেধ সংক্রান্ত প্রত্যাদেশের অনুসারী, সেহেতু ইসরায়েলের বাসিন্দাদের একটি বিরাট অংশ ‘অষ্টম দশকের অভিশাপ’ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সিরিয়াস আলাপ-আলোচনা করে থাকেন। অনেক ইহুদি ইসরায়েলের ওপর কোনো দুর্যোগ নেমে এলে কীভাবে সেখান থেকে সরে যাবেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন।

তারা এই ন্যাচারাল ফেনোমেনন বা প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ অমোঘ নিয়মে নেমে আসতে পারে বলে বিশ্বাস করেন। এজন্য ইসরায়েল তাদের জন্য হুমকি এমন সব কিছু ধ্বংস করে টিকে থাকতে মরিয়া। বিশ্লেষকদের ধারণা- ইসরায়েল গাজা, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইয়েমেনসহ সব জায়গায় অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে হামলা চালাচ্ছে, যেন তারা ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে পারে। তবে তারা ন্যাচারাল ফেনোমেনন বা আল্লাহর পক্ষ থেকে নেমে আসা কোনো বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত।

আরও পড়ুনঃ  বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নামাজ না পড়িয়েই পালিয়ে গেলেন খতিব

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘লা’নাতুল আকদিস সামিন’ অর্থাৎ ইহুদি রাষ্ট্র ভেঙে যাওয়ার সেই ভবিষ্যদ্বাণীটি অনেক বেশি আলোচিত হচ্ছে। এমনকি বছর দুই আগে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাকও ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ