Saturday, September 20, 2025

১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ নিয়ে যা বললেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

আরও পড়ুন

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি (১৯তম) আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৯তম নিবন্ধন কিংবা শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

এদিকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেবলমাত্র প্রিলিমিনারি এবং ভাইভার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। অধিক সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ডাকসুতে মোট কত শতাংশ ভোট পড়ল, জানালো নির্বাচন কমিশন

নাম অপ্রকাশিত রাখার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষায় ১৫-২০ লাখ প্রার্থী আবেদন করে থাকেন। বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হলে খাতা মূল্যায়নে দীর্ঘ সময় লাগবে। সেজন্য কেবলমাত্র এমসিকিউ পদ্ধতিতে মূল্যায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওএমআর শিট মূল্যায়ন করতে সময় লাগে না। ফলে দ্রুত প্রার্থী বাছাই করা সম্ভব হবে। এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষা হলেও প্রশ্নের মান কঠোর করা হবে।

তিন বিভাগের জন্যই ১০০ সাবজেক্টিভ এবং ১০০ জেনারেলের চিন্তা
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি তিন বিভাগের জন্যই ২০০ নম্বরের পরীক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও স্কুল-কলেজে এবং কারিগরিতে ১০০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ১০০ নম্বর জেনারেল এবং মাদ্রাসারা জন্য ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল করা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এভাবে বিভাজন করলে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য তিন বিভাগের জন্য নম্বর প্যাটার্ন একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতের সেক্রেটারি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অনেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব করেছেন। স্কুল-কলেজে এবং কারিগরির জন্য একরকম। আবার মাদ্রাসার জন্য আরেকরকম। তিন বিভাগের জন্য পৃথক পদ্ধতি করা হলে এক প্রকার বৈষম্য করা হবে। সেজন্য আমরা তিন বিভাগের জন্য একই রকম পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভাবছি। সামনে এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে।’

যুক্ত হতে পারে ভাইভার নম্বর
এনটিআরসিএর নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনোই প্রার্থীদের ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়নি। প্রথমবারের মতো ভাইভার নম্বর যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে যেহেতু নিবন্ধনের পরিবর্তে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে, সেহেতু ভাইভার নম্বর যুক্ত করার ব্যাপারে ইতিবাচক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া পরীক্ষার একটি ধাপ কমে যাওয়ায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  অতিরিক্ত সিমকার্ডের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন যেভাবে

এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়। আমরাও এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করার মতামত দিয়েছি। ভাইভার নম্বর যুক্ত না হলে প্রার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে না। আশা করছি আমাদের মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ