বগুড়ায় আদালতের হাজতখানায় অন্য হাজতির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে কারাগার থেকে আনা হয় কারাবন্দি আবু সুফিয়ান শফিককে। হাজিরা শেষে তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। যেখানে আরও কয়েকজন আসামিও অবস্থান করছিলেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শফিকের হাতে থাকা পানির বোতল থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি পড়ে হত্যা মামলার আসামি সাগরের শরীরে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাগর ও তার সহযোগী জলিলসহ আরও দু’জন মিলে শফিককে মারধর শুরু করে। এ সময় হাজতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং শফিককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
পরে আদালত চত্বরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শফিক। তিনি জানান, পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশেই আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি ওয়াশ রুমে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাকে মারধর করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থেকেও আমি নিরাপত্তা পাইনি। হামলার পর কোনো চিকিৎসা না দিয়ে তড়িঘড়ি করে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাগর, জলিলসহ চারজন হত্যা মামলার আসামি মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। আমি এ ঘটনায় মামলা করব।
অন্যদিকে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়েই আমি হাজতখানায় গিয়ে শফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেছি। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।