বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার (১১)। সে ওই গ্রামের নুর হোসেন-তুলি বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা এবং বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। ১১ বছরের ফাতেমা এবং সাত বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ বাড়িতে থাকেন তুলি বেগম। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীর পুকুরে মাছ কুড়াতে যান তুলি বেগম। মাছ নিয়ে এসে বাড়িতে রেখে আবারও ছাগলের জন্য পাতা আনতে বাহিরে যান। পাতা নিয়ে বাড়িতে এসে ফাতেমাকে ডাক দিলে মেয়ের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আড়ার সঙ্গে মেয়ের নিথর দেহ ঝুলছে। পরে তুলি বেগমের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামায়।
খবর পেয়ে কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক ও ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য ফুলবাড়ী থানায় আনা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর মা তুলি বেগম (৩৬) জানান, মাছ কুড়িয়ে এনে ঘরে রাখার সময়ও ফাতেমা ঘরে ছিল। তাকে বাড়িতে রেখে ছাগলের খাবারের জন্য পাতা আনতে বাহিরে যাই। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি ঘরের আড়ার সঙ্গে আমার পরিধেয় ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। পরে আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা এসে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।