ভারতের মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা ৪৭টি বিরল ও বিষধর সাপসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১ জুন) থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে ওই যাত্রীর ব্যাগে সাপগুলো পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মুম্বাই কাস্টমসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আটক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিষধর প্রজাতির ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার (৪৪টি), স্পাইডার-টেইলড হর্নড ভাইপার (৩টি), এবং এশিয়ান লিফ টার্টল (৫টি)। এসব প্রাণী ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত।
যদিও অভিযুক্ত যাত্রীর পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি কাস্টমস বিভাগ, তবে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
কোথা থেকে এসেছে এসব প্রাণী?
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাপগুলো সুনির্দিষ্টভাবে কোন অঞ্চল থেকে আনা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া কিংবা মালয়েশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকতে পারে, যেখানকার জঙ্গলে এ ধরনের প্রাণীর বসবাস।
আইনি প্রেক্ষাপট
ভারতে বিদেশ থেকে পশু-পাখি আমদানি আইনত নিষিদ্ধ নয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিপন্নপ্রায় ও সংরক্ষিত প্রজাতির জন্য লাইসেন্স ও সরকারের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এসব শর্ত না মানলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
কাস্টমস বিভাগ জানিয়েছে, চোরাচালান প্রতিরোধে নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে এবং এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
