Sunday, June 15, 2025

প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রদল নেতা, অতঃপর…

আরও পড়ুন

বরিশাল নগরীতে প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এক ছাত্রদল নেতা আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে প্রেমিকারসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আটক ওই নেতার নাম মেহেদী হাসান। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় গত ১০ জুন রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে প্রেমিকারসহ মেহেদী হাসানকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ সদস্যরা। পরে ১১ জুন দুপুরে আটকৃত মেহেদীকে মেহেন্দিগঞ্জ থানা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মেয়ে-ছেলে উভয়পক্ষ নিয়ে থানা হাজির হন। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা ছেলে-মেয়েকে বিয়ে করার বিষয়ে একমত হন। পরে ৩শ টাকার অঙ্গিকারনামায় উভয় পক্ষের পরিবারের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং তরুণীকে বিয়ে করার পর মেহেদীকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  ঈদের নামাজে ইমামকে শাসালেন আ.লীগ নেতা

কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির কালবেলাকে বলেন, ৫ মাস পূর্বে মেহেদীর সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয়। ফাতেমা বরিশাল গ্যাসটাবাইন এলাকায় অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ওষুধ তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই মেহেদী বরিশালে ফাতেমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

তিনি আরও বলেন, বুধবার (১১ জুন) দুপুরে ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন থানায় আসেন এবং সেখানে বিএনপির ও ছাত্রদলের নেতারা ছিলেন। থানায় বসে উভয় পক্ষের মধ্যে ছেলে-মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত হলের ৩শ টাকা স্টাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বরিশাল আদালত চত্বরে এক আইনজীবীর চেম্বারে বসে তাদের বিয়ে শেষে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতের নায়েবে আমিরের ওপর হামলা

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এক যুবক ও তরুণীকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ছেলেমেয়ে পূর্ব পরিচিত থাকায় তারা বিয়ে করবে বলে জানালে উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত রাখা হয়। পরে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে আসার পরে মেহেদীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি জানতে মেহেন্দীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন সোহাগ ও অভিযুক্ত জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও কল রিসিভ হয়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ