Tuesday, April 15, 2025

কোরআনেই রয়েছে ইসরায়েলের পতনের কথা!

আরও পড়ুন

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাইলের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। সূরা বনী ইসরাইলে উল্লেখ করা হয়েছে, এই জাতি পৃথিবীতে দু’বার ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন। প্রথমবার, খ্রিস্টপূর্ব ৭২২ অব্দে অ্যাসিরিয়ানরা বনী ইসরাইলকে পরাজিত করে জেরুজালেম ধ্বংস করে। দ্বিতীয়বারের শাস্তি এখনো আসন্ন বলে অনেক মুফাসসির বিশ্বাস করেন।  

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাইলের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। সূরা বনী ইসরাইলে উল্লেখ করা হয়েছে, এই জাতি পৃথিবীতে দু’বার ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন। প্রথমবার, খ্রিস্টপূর্ব ৭২২ অব্দে অ্যাসিরিয়ানরা বনী ইসরাইলকে পরাজিত করে জেরুজালেম ধ্বংস করে। দ্বিতীয়বারের শাস্তি এখনো আসন্ন বলে অনেক মুফাসসির বিশ্বাস করেন।  

আরও পড়ুনঃ  বিনা খরচে বিয়ে-হানিমুনের সুযোগ, যা করতে হবে

ইতিহাস অনুযায়ী, অ্যাসিরিয়ান রাজা তৃতীয় তিগলাত পিলেসার এবং পঞ্চম সালমানেসার বনী ইসরাইলের উত্তরাংশ দখল করে তাদের নির্বাসিত করেন। এটিই ছিল দাউদ (আ.) ও সুলাইমান (আ.)-এর প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যের পতন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আমি তাদের বিরুদ্ধে আমার শক্তিশালী বান্দাদেরকে পাঠালাম, যারা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল।” (সূরা বনী ইসরাইল, ১৭:৫)। পরে আল্লাহ তাদের আবার ক্ষমতা দেন, সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সহায়তা করেন।

ইসলামী স্কলারদের মতে, কোরআনে বর্ণিত দ্বিতীয় শাস্তি এখনো ঘটেনি। বর্তমানে ইসরাইল শক্তিশালী সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থানে রয়েছে, যা অনেকের মতে কোরআনের ভবিষ্যদ্বাণীরই অংশ। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামতের আগে ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম পুনর্দখল করবে, যা বনী ইসরাইলের জন্য দ্বিতীয় ধ্বংসযজ্ঞ হিসেবে গণ্য হবে।  

আরও পড়ুনঃ  সিলেটে খুতবা পড়ার সময় ইমামের মৃত্যু

কোরআনের বর্ণনা ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলির মধ্যে স্পষ্ট মিল রয়েছে। বনী ইসরাইলের অতীত শাস্তি ইতিহাসে প্রমাণিত, আর ভবিষ্যতের বিষয়টি আল্লাহর হুকুমের ওপর নির্ভরশীল। মুসলিম বিশ্ব বিশ্বাস করে, আল্লাহর আইন অপরিবর্তনীয়, এবং যারা ফাসাদ সৃষ্টি করে, তাদের পরিণতি একদিন অবশ্যম্ভাবী।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ