নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চাঁদা না দেওয়ায় এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে শালিসে পিটিয়ে আহত ও অর্থদণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে চরজব্বর থানার সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমি কিছুদিন আগে একটা জমি ৭০ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিষয়টি জানতে পেরে আমার কাছে চাঁদা চায়। সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য হয়েও চাঁদা দিলে দেশের অস্থিরতা ফুটে উঠবে তাই আমি চাঁদা দেইনি। এরপর গত ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান খোকনের নাম বলে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে নেওয়া হয়। প্রথমেই আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চায় আর মারধর করতে থাকে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধরের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তারপর মাদরাসা পড়ুয়া ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়।
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগ প্রমাণের কোনো সুযোগ না দিয়েই আমাকে প্রকাশ্যে বেঁধে ১০ বেত্রাঘাত ও মারধর করা হয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আমার থেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানার কাগজে স্বাক্ষর করানোহয়। এভাবে সালিশকারীরা বিষয়টি ‘মীমাংসা’ করার নাটক সাজায়।
হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ আজ আমাকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে চাঁদা আদায় করা হলো। আমি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।”
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী জোবায়দা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, “আমরা স্বন্দ্বীপ থেকে ১৬ নছর আগে সুবর্ণচর এসেছি। আমাদের সাথে সবার ভালো সম্পর্ক। শালিসে এভাবে মিথ্যাচার করে সাথে সাথে শাস্তি দেওয়ার তারা কে। আমার স্বামীর পুরো শরীরে এখনো দাগ রয়েছে। যারা এসব করেছে আমরা তাদের শাস্তি চাই।”
সালিশের বিষয়টি অস্বীকার করে খাসেরহাট বাজারের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মো. আব্দুর রহমান খোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার দোকানে সালিশ হয়েছে সত্য কিন্তু আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানিনা।
নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. রুহুল আমিন বলেন, “ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন একটি মামলার আবেদন করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়েছেন তবে কোনো আদেশ দেননি। আগামী দিন আদেশ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।