Friday, August 22, 2025

মারধর করে যুবদল নেতার মুখে বিষ ঢালা হয়, অতঃপর যা ঘটলো

আরও পড়ুন

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামে যুবদলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত সোহাগ চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন।

আরও পড়ুনঃ  মধ্যরাতে জামায়াত আমীরকে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্ট

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সোহাগ শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং পরে মুখে বিষ প্রয়োগ করে হাসপাতালে নেয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতের স্বজনরা রজো পাইক নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সে আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সোনিয়ার মায়ের সঙ্গে রজোর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান,অতঃপর যা পাওয়া গেল

সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই সোহাগ ও তার স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। আগেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করেছে, এমনকি তখনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এবার তারা আমার ভাইকে মেরেই ফেলল। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে সোহাগের মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ