ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দুই দেশে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এতে ৩৭ জনের মৃত্যু ও অনেকেই আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে লেবাননের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দক্ষিণে নাবাতিহে করা এই হামলায় একজনের মৃত্যু এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
দখলদারদের এমন হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলের হামলা জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন। একইসঙ্গে এটি শত্রুতা বন্ধের ব্যবস্থা ও আমরা যে স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে আগ্রহী তার জন্য হুমকি।
ইসরায়েলি হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্টের জোসেফ আউন। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইসরায়েল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব এবং অঞ্চলে সহিংসতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি বন্ধের আহ্বানকে উপেক্ষা করে চলেছে, যার ফলে লেবানন এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে কাজে লাগাতে না পারার জন্য এই আক্রমণগুলো বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, শুক্রবার ভোর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একজন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তা এখনও থামেনি। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেই তারা এই হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।