Saturday, August 23, 2025

হেলিকপ্টারে চড়ে ইমামের রাজকীয় বিয়ে

আরও পড়ুন

ইমামতি করে টাকা জমিয়ে হেলিকপ্টারে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন রাজবাড়ীর হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। 

রোববার (২০ জুলাই) সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। 

জানা যায়, বর হাফেজ মো. রুহুল আমিন সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোশাররফ হোসেন হেলালীর ছেলে। তিনি দাদশী মাজার জামে মসজিদের ইমামতি করেন এবং তাদের নিজস্ব একটি মাদরাসা রয়েছে।

বর একই ভবদিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ক্লাব মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান ও একই মাঠে তিনি হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে নামেন।

আরও পড়ুনঃ  অবশেষে ৫ই আগষ্ট নিয়ে সামান্বয়ক রাফির ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, অতঃপর যা জানা গেল

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবদিয়ার আবুল হোসেন ক্লাব মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করলে আশ-পাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধা ভিড় জমান। বিকেলে বর-কনে নব দম্পতি আবার ফিরে আসার সংবাদ শুনে আবারও উৎসুক জনতার ঢল নামে। এমন রাজকীয় বিয়ে দেখতে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে।

এ বিষয়ে বর হাফেজ রুহুল আমিন বলেন, আমি ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে হাফেজি পড়া শেষ করি। যখন হাফেজি পড়া শেষ করি তখন আমার বাবা আমাকে বলেছিল যে, তুমি কি চাও? তখন আমি বলেছিলাম হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছা। তখন আমার বাবা বলেছিল তোমার যে আবদার আল্লাহ তোমার মনের আশা পূরণ করবে। আমার বাবা সবসময় এ ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি হেলিকপ্টারে চড়ে ঝিনাইদহ বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমার স্ত্রী সেও একজন হাফেজা।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিল ইরাক

রুহুল আমিনের বাবা মোশাররফ হোসেন হেলালী বলেন, আমার ছেলে ইমামতি করে ৮/১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। বেতনের টাকা থেকে সে প্রতিমাসে কিছু টাকা জমিয়ে রাখতো। আমার ছেলের জমানো টাকা ও আমি কিছু টাকা দিয়ে তাকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে পাঠিয়েছে। আমার ছেলের মনের আশা পূরণ করতে পেরে আমি অনেক খুশি।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ১০ বছর বয়সে হাফেজ হয়। তখন তাকে বলেছিলাম বাবা তুমি আমার কাছে কী চাও। আমি তখন মনে মনে ভেবেছিলাম বাইসাইকেলের থেকে আর বেশি কিছু কী চাবে সে। তখন সে তার দাদা ও দাদিকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে আমার কাছে বলে আমি বিয়ের উপযুক্ত হলে আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। তখন আমি তাকে আশ্বাস দেই। 

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যেভাবে নিখোঁজ হলেন মাহিরা

বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিন বলেন, এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন এ গ্রামে আগে কখনও হয়নি। এখানে উৎসুক জনতার উপস্থিতি দেখে খুব ভালো লাগছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ