Saturday, August 23, 2025

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়

আরও পড়ুন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে তথ্যটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একে হত্যা বলে অভিহিত করে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকেল ৪টার শিডিউলের বাস আটকে যায়।

আরও পড়ুনঃ  উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা: নিখোঁজ এক অভিভাবকের খোঁজ মিলছে না

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কী করে’; ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’; ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’; ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানিনা মানবো না, উই উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস’; ‘সাজিদ হত্যার বিচার, করতে হবে করতে হবে’; ‘সাজিদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সাজিদের বন্ধুরা বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার সময় সাজিদ নিশ্চয়ই গোসল করতে পুকুরে যায়নি। অবশ্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সাজিদ ক্যাম্পাসের বাইরেও কেও ছিল না, তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন হলের নিরাপত্তা গার্ড কোথায় ছিল। প্রক্টর স্যার নিরাপত্তার দায়িত্বে, সে কোথায় ছিল তার উত্তর আমরা জানতে চাই। সাজিদ হত্যার ঘটনায় প্রশাসনকে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। প্রশাসন যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তা স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  এক বছরেও শহিদ পরিবারের সঙ্গে বসতে না পারা সরকারের বড় ব্যর্থতা: সারজিস

রেজাউল রাকিব বলেন, ‘সাজিদকে যখন হত্যা করা হয় প্রক্টরিয়াল বডির কেউ ছিল না। সাজদের লাশ যখন উদ্ধার করা হয় তখন থানার ওসি এসেছে কিন্তু তার সাথে পুলিশ নাই, প্রশাসনের কেও নাই। প্রক্টরিয়াল বডির একজন স্যার আমাদের বলে তোমরা বেশি আবেগী হয়ো না। এ রকম প্রক্টরিয়াল বডিকে আমরা আর ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ