‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- চৌদ্দগ্রামে এই স্লোগান বদলে দেব। এই স্লোগান আমরা পরিবর্তন করতে চাই। চৌদ্দগ্রামে আমরা আর এই স্লোগান বাস্তবায়ন হতে দেব না। স্থানীয় বিএনপি একটি সম্মেলনে বিএনপি নেতার এমনই বক্তব্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই নেতা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুর রহমান মুক্ত। গতকাল বুধবার থেকে তার বক্তব্য ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমন বিতর্কিত বক্তব্যে দলের নেতারাও বিব্রত। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি আবেগে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এদিকে ভিডিও ভাইরালের পর থেকে ওই বিএনপি নেতার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওতে বিএনপি নেতা ওয়াহিদুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এটা কিন্তু আমরা পরিবর্তন করতে চাই। চৌদ্দগ্রামের মাটিতে এই স্লোগান আর আমরা বাস্তবায়ন হতে দেব না। একটা স্লোগান আমি এখন দেব- আপনারা সবাই আমার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে বলবেন। চৌদ্দগ্রামের স্লোগানটা এভাবে হবে- আমার ভোট আমি দেব, বিএনপিকে দেব। কি বলছি? বিএনপিকে দেব। আমার ভোট আমি দেব, ধানের শীষে দেব। আজ থেকে আপনারা এই স্লোগানটাই দেবেন। আর কোনো স্লোগান নাই। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এটা চৌদ্দগ্রামে কোনো সুযোগ নাই।’
এদিকে ভোটাধিকার নিয়ে বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলছেন সচেতন মহল। এমন বিতর্কিত বক্তব্যে বিব্রত দলের তৃণমূল।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান এমন বক্তব্য রাখেন। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ওয়াহিদুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. কামরুল হুদা বলেন, ‘উনি হয়তো আবেগতাড়িত হয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এটা শব্দচয়নে ভুল হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া তিনি মনের কষ্ট থেকেও এ বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে। আমরা বিগত ১৭ বছর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছি। এখনো ভোটের দাবি অব্যাহত রেখেছি। আমাদের দলের নেতা হয়ে তার এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং ওই নেতার কাছে ব্যাখ্যা চাইব।