Saturday, August 23, 2025

এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সারজিসের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডাকা সমাবেশ ঘিরে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

সরাজিস আলম বলেন, সংগ্রামী সহযোদ্ধারা, আজ ৩ আগস্ট। এক বছর পর এই দিনে বিকেল ৪টায় আমরা আবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে দাঁড়াবো পুরো দেশের মানুষের সামনে এনসিপির ইশতেহার নিয়ে। আমাদের এই প্রোগ্রামে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা আছে। সেগুলো নিয়েই এই ভিডিও।

আরও পড়ুনঃ  ফের কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে গোলাগুলির খবর, যা বলছে ভারতীয় সেনাবাহিনী

শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে আসা আমাদের সহযোদ্ধারা প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমাদের মধ্যে কথা বলায় কিংবা চলাচলে যেন সৌহার্দ্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকে। আরেকটি অনুরোধ, এটা যেহেতু একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জায়গা, আমরা যেন এখানে আমাদের জায়গা থেকে কোনো ধরনের প্যাকেট, খাবার কিংবা বোতল না ফেলি। আমরা যেন নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিনে ফেলি। নিজেদের দায়িত্বে পরিষ্কার রেখে পরিবেশটাকে সুন্দর করে রাখি। আগত বাসগুলো নিয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার স্থানে রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  'সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা, বিএনপির প্রস্তাবে একমত এবি পার্টি

তিনি বলেন, পুরাতন বাণিজ্য মেলা এলাকা, শহীদ মিনারের আশপাশ, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পলাশী এলাকায় এবং ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগের গেটের রাস্তায় মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া শহীদ মিনারের ঠিক বিপরীতে আইন বিভাগের ভবনে আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে। সামগ্রিকভাবে ক্যাম্পাসে, শহীদ মিনার এবং এর সংলগ্ন জায়গায় যেন আমাদের জায়গা থেকে কোনো ধরনের কোনো কিছু স্ট্যান্ড না করি। রাস্তায় যেন যানজট তৈরি না করি। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  সীমান্তে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে

সর্বশেষ আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শহীদ মিনার সংলগ্ন শাহবাগে আমাদের অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা ছাত্রদলের বড় প্রোগ্রাম রয়েছে। তাদের প্রতি যেন আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে যেন একে অপরকে সহযোগিতা করি। আজ যেহেতু অভ্যুত্থানের দুটি পক্ষ রয়েছি, তাই তৃতীয় পক্ষ আমাদের মধ্যে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা কিন্তু আমাদের বা ছাত্রদলের কেউ না। তারা তৃতীয় পক্ষ। তাদের উসকানিতে যেন আমরা কোনোভাবেই পা না দেই। দলীয় শৃঙ্খলা যেন আমাদের জায়গা থেকে মেইনটেইন করি। 

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ