গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনুস শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গুরুতর আহত ফিলিস্তিনি পিতা হামদি আল-নাজ্জার অবশেষে মারা গেছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গত ২৪ মে তার বাড়িতে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। কয়েকদিন চিকিৎসার পর শনিবার (৩১ মে) তার মৃত্যু হয়। খবর মিডলইস্টমনিটরের।
জানা যায়, হামলার দিন সকালে হামদি আল-নাজ্জারের স্ত্রী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আলা আল-নাজ্জার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালনের জন্য যান। তাকে সেখানে পৌঁছে দেন স্বামী হামদি। কিছুক্ষণ পর হামদি বাড়িতে ফিরে এলে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালায়। এই হামলায় নাজ্জার দম্পতির দশ সন্তানের মধ্যে নয়জনই নিহত হয়। পরে হাসপাতালে তাদের মা ডা. আলা আল-নাজ্জারই সন্তানদের শনাক্ত করেন। হামলায় বেঁচে ছিলেন শুধু তাদের আরেক সন্তান আদম এবং পিতা হামদি আল-নাজ্জার। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আল-নাজ্জার পরিবারের বাড়িতে চালানো ড্রোন হামলার বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় পশ্চিম তীরে অন্তত ৯৭২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া, অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সহিংসতায় পশ্চিম তীরে প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে সকল বসতি স্থাপনকারীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।